ওসমান হাদিকে সিনেম্যাটিক স্টাইলে প্ল্যান করে শ্যুট করার ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে টার্গেট কিলিং। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, হাদির পরে টার্গেট কিলিংয়ের তালিকায় আছেন আরও নেতারা। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলেন নেতৃত্ব দেওয়া নেতারা। এমন শঙ্কার পরই তাদের নিরাপত্তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। এই টার্গেট কিলিং নিয়ে প্রশাসনের কাছে কি তথ্য আছে আসলে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানকে।
এ নিয়ে তার দাবি, টার্গেট কিলিংয়ের সম্ভাবনা নেই, এমন তথ্যও তাদের কাছে নেই। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় আছে পুলিশ।’ এমনকি সন্দেহভাজন আসামীরা ভারতে পালিয়ে গেছে কিনা তা নিয়ে নিয়েও প্রশাসনের কাছে কোন তথ্য নেই বলেও দাবি করা হয়। এর আগে গতকাল সকালে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিক আব্দুল হান্নানকে মোহাম্মদপুর থেকে আটক করে পুলিশ।
মোটরসাইকেলটির নাম্বার প্লেটের সূত্র ধরে হান্নাকে পল্টন থানা পুলিশ আটক করে। তবে হাদিকে গুলির মিশনে অংশ নেওয়া দুই অপরাধী এখনো অধরা। তারা বিদেশে পালিয়ে গেছে কি না? এমন তথ্যও নেই পুলিশের কাছে।
এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরসাইকেল চালক আলমগীর হোসেন শুক্রবার সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
তার দাবি, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা চেষ্টা রয়েছে।