জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থী ও রাজনীতিকদের লক্ষ্য করে ‘টার্গেট কিলিং’য়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে নির্বাচনি প্রচার শুরু হলে গণজমায়েতের সুযোগে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় তা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। দেশের এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী রাজনৈতিক দলগুলো।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। পাশাপাশি নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন বানচাল করতে অথবা আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে বলে মনে করছে কমিশন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকার ও ইসি নানা পদক্ষেপ নিলেও নিরাপত্তা শঙ্কা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজনীতিকরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অন্তত ২০ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর সঙ্গে আলাপ করলে তারা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে ওসমান হাদিকে ফিল্মি স্টাইলে গুলি করা হয়েছে। আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে যখন নির্বাচনি প্রচার শুরু হবে, তখন এমন ঘটনার সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শঙ্কায় আছেন তারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, চট্টগ্রামের ঘটনার পর থেকে সরকারের তৎপর হওয়া উচিত ছিল। নতুন করে হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটেছে, যা সরকারের ব্যর্থতা।
সাম্প্রতিক ঘটনায় শুধু সম্ভাব্য প্রার্থী নয়, সাধারণ মানুষও শঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, শুধু প্রার্থী নয়, জনগণও শঙ্কিত। তাদের নিরাপত্তার প্রশ্ন এখানে। প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, শুধু প্রার্থীরা নয়, সাধারণ জনগণ যারা আছেন, তারা সবাই এখন একটা অনিরাপত্তা পরিস্থিতির মধ্যে আছেন।