আগামী ১৩ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণকে ঘিরে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে পুরো রাজধানী শহরকে। আটটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা ছক প্রণয়ন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসব সেক্টরে মোতায়েন করা হয়েছে ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য। সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে আছেন ডিএমপির কমিশনারসহ ছয়জন অতিরিক্ত কমিশনার। এ পরিকল্পনা ২০ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক নিরাপত্তা নির্দেশনায় রোববার বলা হয়েছে, প্রতিটি থানায় কমপক্ষে পাঁচটি মোবাইল প্যাট্রোল টিম নিয়োজিত করতে হবে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ব্যাগ এবং গাড়িসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি চেক করার সময় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।
সূত্র জানায়, পরিকল্পনায় যেসব স্থানকে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- প্রধান বিচারপতির বাসভবন, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল, রমনা কালী মন্দির, শহীদ মিনার, টিএসসি, বুয়েট, নীলক্ষেত, নগরভবন, হাইকোর্ট, সচিবালয়, পিজি হাসপাতাল, শাপলা চত্বর, কমলাপুর আইসিটি, রামপুরা টিভি সেন্টার, জয়কালী মন্দির, বঙ্গভবন দক্ষিণ গেট, আরকে মিশন রোড, ব্যাংক কলোনি, সাইনবোর্ড, রায়েরবাগ প্রভৃতি। এছাড়া সদরঘাট, আদালত প্রাঙ্গণ, মিটফোর্ড হাসপাতাল, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, নিউমার্কেট ক্রসিং, লালবাগ কেল্লা, ইডেন মহিলা কলেজ, মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার, আনসার ক্যাম্প, বিজয় সরণি, শাহআলী মার্কেট, কমার্স কলেজ, মাজার রোড, ভাষানটেক বস্তি প্রভৃতি। এছাড়া ৬, ৭ এবং ৮ নম্বর সেক্টর হিসাবে যথাক্রমে অপরাধ বিভাগের তেজগাঁও, গুলশান এবং উত্তরার উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ১৩ নভেম্বর ঘিরে আওয়ামী লীগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা সে বিষয়ে তৎপর আছি। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ছক প্রণয়ন করেছি। সে অনুযায়ী, আমাদের অফিসার ও ফোর্সরা মাঠে আছে।