বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসা পর্নো তারকার সন্ধান মিলল। যারা সরাসরি নিজেদের চেহারা দেখিয়ে বাংলাদেশে বসে পর্ণ ভিডিও বানিয়ে, এডিট করে আপলোড করে আসছিলো। তাদের নিয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান করে দ্য ডিসেন্ট নামের একটি গণমাধ্যম। সেই প্রতিবেদনে উঠে আসে ওই পর্ণ তারকা যুগলের বাড়ি কোথায়? তারা কিভাবে এই পথে পা বাড়ালো। তাদের নেটওয়ার্ক তৈরির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। তাদের সেই প্রতিবেদনের সুত্র ধরেই মাঠে নামে প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকেই। তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের সূত্র ধরে প্রকাশ করা হয় তাদের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা। এমনকি পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য পর্যন্ত নেয় দ্য ডিসেন্ট।
দ্য ডিসেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তারকা যুগলের ২৮ বছর বয়সি নারী সদস্যটি নিজেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বাংলাদেশের এক নম্বর মডেল’ হিসেবে উপস্থাপন করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, ওই নারী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা। তবে ওই ঠিকানায় গেলে দেখা যায়, সেটি তার প্রথম স্বামীর বাড়ি, যিনি পেশায় একজন জেলে। তার শ্বশুর নিশ্চিত করেন যে, তিনি তার পুত্রবধূ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘একদিন সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, আট বছর হয়ে গেছে, আর ফিরে আসেনি’।
জানা গেছে, ওই নারীর বাবার বাড়ি একই উপজেলার ভিন্ন একটি গ্রামে। মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারীর বাবা দ্য ডিসেন্টকে জানান, এক বছর আগে তিনি তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তার ভাষায়, ‘আমরা গত এক বছর ধরে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখিনি। আমি তাকে ত্যাজ্য করেছি’।
অন্যদিকে পুরুষ সদস্যটির জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সে অন্ধকার জগতের মানুষ। ওর কারণে আমাদের গ্রামের নাম খারাপ হচ্ছে’। পেশায় অটোরিকশা চালক মো. ফারুক নামে এক প্রতিবেশি বলেন, ‘তার পুরো পরিবার বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তারা অপরাধী পরিবার বলে এলাকায় পরিচিত।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মফিজ বলেন, ‘তার বাবা এক সময় রিকশা চালাতেন, কিন্তু এখন তাদের আচরণ দেখে মনে হয় যেন তারা কোটি টাকার মালিক।’ পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৫ আগস্ট মাদক-সংক্রান্ত একটি মামলায় (ধারা ১৫১) ওই পুরুষ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় দায়ের করা একটি সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি মুক্তি পান।