ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের স্ত্রী ও শ্যালকসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। তবে ফয়সাল করিমের ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র্যাবের সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র বলেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। তাদেরকে গতকাল সন্ধ্যায় পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনজনের মধ্যে ফয়সালের স্ত্রী ও শ্যালক ছাড়াও অন্যজন অর্থাৎ ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকার 'গ্রিন জোন' নামক একটি রিসোর্টের কর্মচারী। জানা গেছে কিলার ফয়সাল ও তার সহযোগী আলমগীর ওসমান হাদীকে গুলি করার আগে ওই রিসোর্টেই অবস্থান করছিল। সেখানে বসেই তারা পরিকল্পনা সাজান। অন্য কারা সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দিন শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদীয় প্রার্থী ওসমান হাদি। মোটরসাইকেলে থাকা আততায়ী তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। মাথায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ সোমবার তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ বলেছে, ওসমান হাদীর উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে ফয়সাল করিমকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারসহ বিভিন্ন জায়গা তার সঙ্গে ফয়সাল করিমের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ছবি রয়েছে। সেই ছবিতেগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে গুলি করা ব্যক্তির চেহারার সাদৃশ্য রয়েছে বলে অনেকে দাবী করছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে চলছে তোলপাড়।
ফয়সাল করিম কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হয়েছিলেন।