এক সময় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর বড় অংশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানালেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই মনোভাব অনেকাংশেই পরিবর্তন হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আগেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুললেও এখন মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি মুসলিম দেশও দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে। আর এই পরিবর্তনের সূচনা হয় ২০২০ সালে, যখন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে মরক্কো ও সুদানও একই পথে হাঁটে।
এবার সেই সম্পর্ক আরও প্রসারিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়বে। এবং যখন সৌদি গড়বে, তখন অন্যরাও একই কাজ করবে। সম্প্রতি কয়েকটি দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে খুবই ভালো আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ট্রাম্প। তিনি বিশ্বাস করেন, এসব দেশ খুব শিগগিরই এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে।
২০২০ সালে ট্রাম্পের উদ্যোগেই শুরু হয় ‘আব্রাহাম চুক্তি’, যার লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা দূর করে শান্তি, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা। এই চুক্তির মাধ্যমে আরব বিশ্বের কিছু দেশ ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয় এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ট্রাম্প বর্তমানে গাজা যুদ্ধের অবসান ও একটি বৃহত্তর শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। তার দাবি, এই উদ্যোগই হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও নতুন কূটনৈতিক যুগের সূচনা। আর আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি সৌদি আরব সত্যিই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে সেটি হবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মোড়।