দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এর মধ্যেই ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এই প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে নিরাপত্তা ইস্যুটি আরও গুরুত্ব পাচ্ছে।
এদিকে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। তার ভাষায়, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে ১০ তারিখ, তারপর দিনই বাংলাদেশে একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর ওপরে হামলা হলো। হামলার ধরন দেখে বোঝা যায় এটা পেশাদার শ্যুটারের কাজ।’
তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও তার নিরাপত্তা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাতে নিরাপদে থাকে, সে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য সরকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছি আমরা।’ তিনি যোগ করেন, ‘এ বিষয়টা আজ এখানে আলোচনা হয়নি, অবশ্যই বিষয়টা আমাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা দলীয়ভাবেও চেষ্টা করবো, সরকারকেও আহ্বান জানাবো যাতে উনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘কোন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে, সরকারের দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব আছে। জনগণের সচেতনতা জরুরি।’
শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেকের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
