news.ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

ব্রিটিশ রাজনীতিতে বজ্রপাত

ব্রিটিশ রাজনীতিতে বজ্রপাত

আইবিটিভি ইউএসএ নিউজ ডেস্ক     

ব্রিটিশ রাজনীতিতে হঠাৎ বজ্রপাত। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। বৃহস্পতিবার টেন ডাউনিং স্ট্রিটে সাংবাদিকদের সামনে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে বলে কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট আর নিজ দলে বিরোধীতার কারণে গেল কয়েক সপ্তাহ করেই ব্রিটিশ রাজনীতিতে ছিল অস্থিরতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস সাংবাদিকদের সামনে এসে সেই কালো মেঘকে বৃষ্টি হয়ে ঝরালেন। ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের।

বলেন, তিনি এমন এক সময় ক্ষমতা গ্রহণ করেন, যখন বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছিল। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী- সবাই উদ্বিগ্ন। প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করে পুরো ইউরোপকেই হুমকি মুখে ফেলেন। এ অবস্থায় কনজারভেটিভ পার্টি তার ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছিল, তা পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তাই পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।

ট্রাস পদত্যাগ করবেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই ব্রিটিশ রাজনীতিতে এমন গুঞ্জন ভাসছিল। ধারণা করা হচ্ছিল আগামী বড়দিনের আগে সরে দাড়াবেন তিনি। তবে এর আগেই পদত্যাগ করতে শুরু করে মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা। নিজ দলের ভেতর বিরোধ তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়ার আগেই পদ ছাড়লেন ৪৭ বছর বয়সী ট্রাস। গড়লেন সবচে কম সময় প্রধানমন্ত্রী থাকার রেকর্ড।

কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। নতুন নেতা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন ট্রাস।

নতুন প্রধানমনত্রী কে হবেন, তা নিয়ে ব্রিটেনে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করছে, দেড় মাস আগে পদত্যাগ করা বরিস জনসন আবারো ওই পদের জন্য লড়াই করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নির্বাচনী প্রচারণায় কর ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন লিজ ট্রাস। কিন্তু অর্থনৈতিক সঙ্কট প্রকট হওয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পরই সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যান তিনি। তারপরই লিজ ট্রাসের বিরুদ্ধে সরব হন এমপিরা। 

এদিকে দ্রুত সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে ব্রিটিশ বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টারমার। কনজারভেটিভ পার্টির ক্ষমতায় থাকার আর কোন অধিকার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।