এদিকে, অ্যামেরিকার আপত্তি উপেক্ষা করে তেলের উৎপাদন কমানোর ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের যে সমালোচনা হচ্ছে, তাকে তথ্যভিত্তিক নয় বলে খারিজ করে দিয়ে সৌদি আরব বলেছে, ভোক্তা ও উৎপাদকদের স্বার্থ রক্ষায় এমন পদক্ষেপ। সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিতান্ত অর্থনৈতিক কারণ বিবেচনায় নিয়ে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর লক্ষ্য তেলের চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য রক্ষা করা এবং বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখা।
গত সপ্তাহে এক বৈঠকে জ্বালানি তেলের উৎপাদন দৈনিক রেকর্ড ২ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দেয় রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। তাদের এই সিদ্ধান্তে পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষোভের পাশাপাশি উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের অভিযোগ, রাশিয়ার তাঁবেদারি করছে সৌদি আরব। তেল উৎপাদন কমিয়ে উচ্চমূল্য সৃষ্টি করে পরোক্ষভাবে ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থ রুশ তহবিল যোগাচ্ছে সৌদি, এমনটা মনে করছে ওয়াশিংটন।
তবে রিয়াদ বলছে, এই সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক কারণে নেওয়া। এক মাস আগে বিষয়টি নিয়ে অ্যামেরিকার সঙ্গে আলোচনা হয়। তখন তারা এই সিদ্ধান্ত এক মাস পেছাতে বলেছিল। বিবৃতিতে সৌদি আরব বলছে, অ্যামেরিকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কৌশলগত। এজন্য পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর জোর দিতে হবে।