news.ibtvusa@gmail.com

929-633-2900

আলোচিত সেই পর্নো-তারকা যুগল সম্পর্কে যা জানা গেল

আলোচিত সেই পর্নো-তারকা যুগল সম্পর্কে যা জানা গেল

আইবিটিভি ডিজিটাল      প্রকাশিত: দুপুর ০২:২৪, ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার      আপডেট: বিকাল ০৩:৪১, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার

আলোচিত এই পর্নো-তারকা যুগল বাংলাদেশে বসেই ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও আপলোড করতেন এবং এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করছিলেন। ওই দম্পতি বিদেশি একটি ওয়েবসাইটে নিয়মিত পর্নো কনটেন্ট আপলোড করতেন। তাদের পরিচালিত ওয়েবটি বিশ্বের জনপ্রিয় পর্নো সাইটগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে উঠে আসে। দ্য ডিসেন্ট নামের একটি গণমাধ্যম তাদের নিয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় অভিযান। অবশেষে সিআইডির একটি টিম বান্দরবান থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত থেকে অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। জানা গেছে, ওই বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণ একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই যুগল শুধু নিজেরাই অপরাধই করছে না বরং অন্যদেরও এই পথে যুক্ত হতে উৎসাহিত করছেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে পর্নো ভিডিও বানানো এবং প্রচারের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে। 

 দ্য ডিসেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তারকা যুগলের ২৮ বছর বয়সি নারী সদস্যটি নিজেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বাংলাদেশের এক নম্বর মডেল’ হিসেবে উপস্থাপন করেন।  জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, ওই নারী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা। তবে ওই ঠিকানায় গেলে দেখা যায়, সেটি তার প্রথম স্বামীর বাড়ি, যিনি পেশায় একজন জেলে। তার শ্বশুর নিশ্চিত করেন যে, তিনি তার পুত্রবধূ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘একদিন সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, আট বছর হয়ে গেছে, আর ফিরে আসেনি’।

জানা গেছে, ওই নারীর বাবার বাড়ি একই উপজেলার ভিন্ন একটি গ্রামে। মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারীর বাবা দ্য ডিসেন্টকে জানান, এক বছর আগে তিনি তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তার ভাষায়, ‘আমরা গত এক বছর ধরে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখিনি। আমি তাকে ত্যাজ্য করেছি’।

অন্যদিকে পুরুষ সদস্যটির জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সে অন্ধকার জগতের মানুষ। ওর কারণে আমাদের গ্রামের নাম খারাপ হচ্ছে’। পেশায় অটোরিকশা চালক মো. ফারুক নামে এক প্রতিবেশি বলেন, ‘তার পুরো পরিবার বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তারা অপরাধী পরিবার বলে এলাকায় পরিচিত।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মফিজ বলেন, ‘তার বাবা এক সময় রিকশা চালাতেন, কিন্তু এখন তাদের আচরণ দেখে মনে হয় যেন তারা কোটি টাকার মালিক।’ পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৫ আগস্ট মাদক-সংক্রান্ত একটি মামলায় (ধারা ১৫১) ওই পুরুষ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় দায়ের করা একটি সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি মুক্তি পান।