news.ibtvusa@gmail.com

929-633-2900

মার্কিন ভিসা আরও কঠোর হচ্ছে যাদের জন্য

মার্কিন ভিসা আরও কঠোর হচ্ছে যাদের জন্য

আইবিটিভি ডিজিটাল      প্রকাশিত: বিকাল ০৪:২৮, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার      আপডেট: দুপুর ০১:৪৩, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার

মার্কিন ভিসা যেন দিন দিন সোনার হরিণ হয়ে উঠছে। আর বিশ্বের প্রায় সব দেশের বাসিন্দাদের কাছে স্বপ্নের ঠিকানা হয়ে উঠেছে এই মার্কিন মুলুক। এতেই যেন মাথা খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। নানা টাল বাহানায় ভিসা দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

এবার বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে এমন বিদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফ্যাক্টচেকিং, কনটেন্ট মডারেশন, ভুল তথ্য প্রতিরোধ বা অনলাইন নিরাপত্তায় কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিরা নতুন এই নীতির আওতায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ নির্দেশনার বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসগুলোকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ‘সুরক্ষিত মতপ্রকাশ’ বা ফ্রি স্পিচ দমনকারী বা তাতে জড়িত এমন ব্যক্তিদের ভিসা আবেদন অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

চিঠিতে ভিসা আবেদনকারীদের অতিরিক্ত যাচাই-বাছাইয়ের কথাও বলা হয়েছে। বিশেষ করে যাদের ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি, কনটেন্ট মডারেশন, ফ্যাক্টচেকিং, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি বা অনলাইন নিরাপত্তার মতো কাজে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যাবে। দূতাবাস কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনকারীর লিংকডইন প্রোফাইলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের কোনো লেখা বা প্রতিবেদন থাকলে সে সম্পর্কেও খোঁজ নিতে হবে। যদি কোনো তথ্য পাওয়া যায় যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মতো কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাকে ‘ভিসার জন্য অযোগ্য’ ঘোষণা করবেন।

নতুন এই নির্দেশনা প্রথমে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যদিও পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত এটি সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র গার্ডিয়ানকে বলেন, অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসে আমাদের মুখ বন্ধ করার মতো কাজ করবে এমন কোনো কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটির মতো কাজকে ‘সেন্সরশিপ’ হিসেবে দেখানো হলে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।