চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মেরি ই ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি। পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স অর্থাৎ শরীরের রোগ প্রতিরোধক কোষ জীবাণুকে আক্রমণ করতে গিয়ে যেন নিজের টিস্যু বা অঙ্গকে আক্রমণ না করে, সেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।
দ্য নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাকাগুচি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন; যা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শরীরের ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখে। তাদের এ আবিষ্কার ক্যান্সার ও অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রে নতুন চিকিৎসা উদ্ভাবনের পথ খুলে দিতে সহায়ক হবে।
শিমন সাকাগুচির গবেষণা প্রথমবারের মতো রেগুলেটরি টি-সেলের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে, যা শরীরের ইমিউন প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পরবর্তীকালে মেরি ই ব্রাঙ্কো ও ফ্রেড রামসডেল এ সেলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফক্সপিথ্রি জিন চিহ্নিত করেন, যা ইমিউন সিস্টেমের ভারসাম্য রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা রাখে।
এবারের নোবেলজয়ী মেরি ই ব্রাঙ্কো যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার। ফ্রেড রামসডেল সান ফ্রান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ও শিমন সাকাগুচি জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটির ইমিউনোলজি ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ সেন্টারের অধ্যাপক।