এভারকেয়ার হাসপাতালে শারীরিকভাবে 'সংকটাপন্ন' অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়ে অবিলম্বে তা কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার সকালে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্ত জানান উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ভিভিআইপি হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মতো খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর প্রশ্ন উঠেছে, তারেক রহমানও দেশে ফিরলে এসএসএফ-এর নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন কিনা।
যদিও তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন তা এখনো নিশ্চিত নয় কারণ তিনি নিজেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন যে, তার দেশে ফেরার বিষয়টিতে 'সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়'। তবে সোমবার রাতে দলের এক বৈঠকের পর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছেন, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন। বিভিন্ন নেতার বক্তব্য ও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে নেয়া সরকারের পদক্ষেপ থেকে অনেকের ধারণা, সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান।
এসএসএফ অধ্যাদেশে 'খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি'কে শারীরিক নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি বলা আছে। ওই একই অধ্যাদেশে ভিভিআইপি মানে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান ছাড়াও বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান কিংবা সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষিত অন্য যেকোনো ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে বলে আইনজীবীরা জানান। ফলে সরকার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা করায় তিনি এসএসএফ সুবিধা পাবেন।
এখন প্রশ্ন হলো, খালেদা জিয়া ভিভিআইপি হিসেবে এসএসএফ সুবিধা পেলে তার আওতায় তারেক রহমানও আসবেন কি-না।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফজলে এলাহী আকবর বলেছেন, তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে এসএসএফ সুবিধা দেয়ার একটি প্রস্তাব সরকারকে দেয়ার পরিকল্পনা তাদের আছে। যদিও বিএনপিরই একজন নেতা বলেছেন, রাষ্ট্র বা সরকার ঘোষিত ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার জন্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা থাকবে সেটি তার পরিবারের সদস্যদের জন্যও প্রযোজ্য হবার কথা বলে তারা মনে করেন। এসব তথ্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।