বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এই সংকটাপন্ন মুহূর্তে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কি না এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। তবে মায়ের গুরুতর অসুস্থতার মধ্যেও দেশে ফেরার বিষয়ে ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর বিষয়টি আরও আলোচনায় এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বাধা কোথায়।
শনিবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান দেশে ফেরা নিয়ে এমন কথা জানান। এরপরেই দিনভর আলোচনা-সমালোচনার পর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে বলেন, ‘তারেক রহমানের ফেসবুক স্ট্যাটাসেই সব ব্যাখ্যা রয়েছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই।’ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোনো বিধি-নিষেধ অথবা কোনো ধরনের আপত্তি নাই।
এদিকে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ আমলে এবং তার আগে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দায়ের হওয়া সব মামলা থেকে আইনি প্রক্রিয়াতেই অব্যাহতি পান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান।
পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বিএনপির দিক থেকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা ও অস্ত্রে লাইসেন্সের আবেদনের খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। ফলে মামলা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে তার দেশে ফিরতে দৃশ্যত কোনো বাধা ছিল না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ফেসবুকে তারেক রহমান যা বলেছেন তাতে মনে হয় দেশে আসার বিষয়টি তার নিজের ওপর নির্ভর করে না এবং আরও অনেক ফ্যাক্টর আছে যার ওপর তার নিয়ন্ত্রণ নেই।
তিনি আরও বলেন, ১/১১ এর সময়ে কিছু ব্যাপার ছিল। তারেক রহমান এক ধরনের মুচলেকা দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়াও বলেছিলেন যে- তারেক লন্ডনে পড়ালেখা করবেন, রাজনীতি করবে না। আমরা জানি না সেই অঙ্গীকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে কি না। তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়েছেন কি না তাও পরিষ্কার না।
এদিকে বাংলাদেশ বড় দুটি দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে একটি অগণতান্ত্রিক তৎপরতা রয়েছে- শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন মন্তব্য এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার পর ‘মাইনাস টু ফর্মুলার’ বিষয়টিও অনেকের আলোচনায় আসছে।
এসব তথ্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।