হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১৫ মাস পাড় হলেও দেশে ফেরেননি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দল থেকে বলা হচ্ছে দ্রুতই তিনি দেশে ফিরবেন। তবে কবে ফিরবেন সে বিষয়ে কোন উত্তর জানাতে পারেনি কেউ। এমনকি তারেক রহমান নিজেও খোলাসা করেননি কবে নাগাদ দেশের মাটিতে পা রাখবেন তিনি। বর্তমানে তার দেশে ফেরার আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সংকটাপন্ন অবস্থার করণে।
দেশবাসী যখন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া প্রার্থণা করছেন তখনও তারেক রহমানের দেশে ফেরার আলোচনা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তারেক রহমান। নিজেই জানিয়েছেন তিনি এই মুহূর্তেও কেন দেশে ফিরতে পারছেন না।
তিনি বলেছেন, এমন সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্খা তার থাকলেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তার মানে, তিনি চাইলেও এই মুহূর্তে দেশে ফিরতে পারছেন না। নিরাপত্তাসহ নানা রাজনৈতিক হিসেব মিলিয়ে তারপর দেশে ফিরতে পারবেন এমন ইঙ্গিতিই পাওয়া যায়।
আসলেই এখনও কেন দেশে ফিরতে পারছেন না তারেক রহমান? বাধা বা সংকটটা আসলে কোথায়? এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন বলেন, তিনি কবে ফিরবেন সেই সিদ্ধান্ত একান্তই তার। তবে নেতারা চান তিনি এই সময়ে তার মায়ের পাশে থাকুক।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ ডজনকে ডজন মামলা এবং সাজার রায় দেওয়া হয়েছিলো তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। যদি সব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। দল থেকে বলা হচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তপশিল ঘোষণার আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। নির্বাচন করবেন বগুড়া ৬ আসন থেকে।