news.ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

গৌতম আদানি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী

গৌতম আদানি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী

আইবিটিভি ইউএসএ নিউজ ডেস্ক     

আরও সম্পদ বাড়ল গৌতম আদানির। তার ফলে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারপার্সন। 

ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, আদানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বার্নার্ড আর্নল্ট ও অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে ছাপিয়ে গেছেন।

ফোর্বসের রিয়েল টাইম তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার (আমেরিকার স্থানীয় অনুযায়ী) বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ফুলেফেঁপে উঠেছেন আদানি। তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার ফলে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ঠেকেছে।

ভারতীয় এই ধনকুবেরের চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধু টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক। টেসলার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৭৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আজই শুধু তাঁর পকেটে ৭৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (০.২৮ শতাংশ) ঢুকেছে।

আজ কীভাবে এত সম্পদ বাড়ল আদানির? 

শুক্রবার শেয়ার বাজার খুলতেই লক্ষ্মীলাভ হয় আদানি গ্রুপের। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্ট এবং আদানি ট্রান্সমিশন রেকর্ড স্তরে পৌঁছে যায়। 

শেয়ার বাজারের এই লাভে ভর করেই সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন আদানি। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন।

আদানির 'সোনার' ২০২২ সাল

চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় যারা ১০ নম্বরে আছেন, চলতি বছর তাদের মধ্যে কারও সম্পদ এত বৃদ্ধি পায়নি। তার ফলে বছরের শুরু থেকেই আদানি তুখোড় ছন্দে ব্যাটিং করছেন।

ফেব্রুয়ারিতে রিলায়েন্সের মুকেশ আম্বানিকে টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির মুকুট ছিনিয়ে নেন আদানি। গত মাসে ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় বিল গেটসকে ছাপিয়ে যান। আদানির কাছে 'হেরে গেছেন' অ্যামাজনের জেফ বেজোসও।

৬০ বছরের আদানি হলেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। বন্দর, অবকাঠামো-সংক্রান্ত বিষয়, তাপবিদ্যুৎ, আবাসনের মতো খাতে বিশাল বিনিয়োগ আছে আদানি গ্রুপের। 

মাস কয়েক আগেই সিমেন্ট ব্যবসায় প্রবেশ করেছে আদানি গ্রুপ। ১০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে সুইস সিমেন্ট সংস্থা হোলসিমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নেন আদানি। ভারতে হোলসিমের সিমেন্ট ব্যবসার অধিগ্রহণ করেন। যা ভারতে সিমেন্ট ব্যবসার ভোল পালটে দেবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।