news.ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

করোনা টেস্ট, ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে মানুষ

করোনা টেস্ট, ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে মানুষ

IBTV USA     

করোনা টেস্ট, ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজ নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে মানুষ

 

নব নির্বাচিত মেয়রের অভিষেক বাতিল

১৫ ভাগ বাংলাদেশি ওমিক্রন করোনায় আক্রান্ত

ভ্যাকসিন নিলেই ১০০ ডলার

 ডাক্তার/নার্সের অভাবে বন্ধ হচ্ছে হেলথ সেন্টার

 করোনা ভাইরাস টেস্ট, ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে মানুষ। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে করোনা টেস্ট কিংবা ভ্যাকসিন নেবার জন্য। নিউ ইয়র্ক সিটি পরিচালিত ১২৩টি করোনা টেস্ট সেন্টার চালু করেও সামাল দিতে পারছে না প্রশাসন। করোনা টেস্ট করার জন্য শঙ্কিত মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে প্রতিটি টেস্টিং সেন্টারে।  সিটির শত শত প্রাইভেট ফার্মেসী, আরজেন্ট কেয়ার ও ডাক্তার অফিসতো টেস্ট ও ভ্যাকসিন প্রদান দিচ্ছেই। হাসপাতাল ও আরজেন্ট কেয়ারগুলো হিমশিম খাচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে। সংকট দেখা দিয়েছে ডাক্তার ও নার্সের। চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল স্বাস্থ্য সেবা,  কর্মি না থাকায় সিটি এমডি নিউ ইয়র্ক সিটির ১৯টি সাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এরমধ্যে কুইন্সে রয়েছে ৩টি। ওমিক্রন করোনা যেন মহামারির আকার না ধারন করে ও নিউ ইয়র্কারদের ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করতে মেয়র ডি ব্লাজিও- ১০০ ডলারের ইনসেটিভ ঘোষণা করেছেন। ভ্যাকসিন বা বুস্টার ডোজ নিলেই পাওয়া যাবে ১ শ’ ডলার। সিটির কর্মচারিরা ভ্যাকসিন বা বুস্টার ডোজ নিতে গেলে ৪ ঘন্টা পেইড সময় পাবেন। টিকা নেবার পর অসুস্থ বোধ করলে আরও দুদিন রয়েছে পেইড ছুটি। 

ওমিক্রন করোনা ভাইরাস নিয়ে নিউ ইয়র্কসহ গোটা আমেরিকাতেই আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। হুহু করে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে গমনেচ্ছুরা কোভিড টেস্ট ফলাফল নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। অধিকাংশ দেশ কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা আগে করা টেস্ট ফলাফল গ্রহণ করছে। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠান টেস্ট করছে তারা এই সময়ের মধ্যে টেস্ট ফলাফল দিতে সক্ষম হচ্ছে না। নিউ ইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ওমিক্রন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সিটিতে বসবাস প্রায় ১৫ ভাগ বাংলাদেশিই ওমিক্রন করেনার সংক্রমনের স্বীকার।কুইন্স ও ব্রংকসের বেশ কয়েকজন ডাক্তারের সাথে আলাপকালে এমন তথ্যই উঠে  এসেছে।  

সিডিসি কর্মকর্তারা বলেছেন, যেসব মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে শতকরা ৭৩ ভাগই ওমিক্রন সংক্রমিত। মাত্র এক সপ্তাহে সংক্রমণ ৬ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউ ইয়র্ক, সাউথইস্ট, মিডওয়েস্ট এবং প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট অঞ্চলে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ বা তারও বেশি ওমিক্রনে আক্রান্ত। গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে। 

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বড়দিনের আনন্দ উৎসব শুরু হয়েছে। তান্ডব শুরু করেছে ওমিক্রন করোনাভাইরাসের । এটির ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা অনেক বেশি। চার সপ্তাহে ১০৯টি দেশে ছড়িয়েছে। বড়দিনের ছুটিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ যাতে অতিমাত্রায় ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য অনেক দেশ নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। দেশে দেশে নানা বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে। বড়দিনের ছুটিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ অতিমাত্রায় ছড়ানো ঠেকাতে অনেক দেশ কঠোর লকডাউনের দিকে যাচ্ছে। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বড়দিনের আনন্দ অনেকটাই ¤øান হচ্ছে। নিউ ইয়র্ক সিটির নব নির্বাচিত মেয়র এরিক এডামস তার উৎসব মুখর অভিষেক অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করেছে। ১ জানুয়ারি এই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান হবার কথা ছিল। 

প্রতিবছর নববর্ষকে স্বাগত জানাতে নিউ ইয়র্ক সাজে ভিন্ন সাজে। সারা বিশ্ব থেকে নিউ ইয়র্কে লাখো মানুষ সমবেত হয় নিউ ইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে। ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে টাইমস স্কয়ারে বল পড়ার দৃশ্য অ¤øান করে রাখায় মাতোয়ারা থাকেন সকলে। গেল বছর করোনার কারনে এটি হয়েছিল ভার্চুয়াল । এবার প্রস্তুতিও রয়েছে।  তা হবে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে। কিন্তু করোনার ভয়াবহতায় মেয়র বøাজিও যেকোন মুর্হুতে বাতিল করতে পারেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাইমস স্কোয়ারের থার্টি ফার্ষ্ট নাইট উৎসব বাতিল করা হয়নি। তিনি বলেছেন, শুক্রবার ২৪ ডিসেম্বর নাগাদ চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ফ্রান্সে নববর্ষ উদ্যাপনে কনসার্ট ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জনগণকে বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। 

পাবলিক হেলথ কর্মকর্তারা জনগনকে অতিমাত্রায় শংকিত হতে বারন করেছেন।বলছেন, প্যানিক হবার মতো পরিস্থিতি হয়নি। তাদের ধারণা, জানুয়ারির মধ্যভাগ পর্যন্ত ওমিক্রমনের প্রকোপ বাড়তে থাকবে।এরপর আফ্রিকার মতো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। নিউ ইয়র্ক স্টেট গর্ভনর ক্যাথি হোকল বলেছেন, ওমিক্রন আঘাত হানছে। তবে আমাদের কাবু করতে পারছে না। ক্যাজুয়ালিটি একবারেই কম। করোনার কারনে গত বুধবার স্টেটে ৫৭ জন মারা গেছেন। তবে তাদের মধ্যে কোভিড ছাড়াও অনেক কমপ্লিসিটি ছিল। অথচ গত বছর মার্চ/এপ্রিলে একদিনেই মারা গিয়েছিল ৮০০ জন। আমরা উদ্বিগ্ন। । কিন্তু শংকিত নই। পর্যাপ্ত পরিমান টেস্টিং সাইট ওপেন করা হচ্ছে। টাইমস স্কয়ার ও গ্রান্ড সেন্ট্রাল সাবওয়ে স্টেশনেও টেস্টিং সেন্টার ওপেন করা হয়েছে। এছাড়া প্রেসিডেন্ট বাইডেন মঙ্গলবার বলেছেন , ফেডারেল সরকার নিউ ইয়র্ক সিটিতে নতুন টেস্টিং সেন্টার চালু করবে। গত কয়েক দিন যাবত সিটিতে দৈনিক গড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার লোকের করোনা টেস্ট করা হচ্ছে। পাঁচ লাখ হোম টেস্ট করার ব্যবস্থা করা হবে। বিনামূল্যে দেয়া ১০ লাখ ‘৯৫’ মাস্ক ।