দেশে ফিরে স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে থুনবার্গ বলেন, ইসরায়েলি সেনারা তাঁকেসহ অন্যদের ‘অপহরণ ও নির্যাতন’ করেছেন।
থুনবার্গ এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। তবে সাংবাদিকেরা বারবার জানতে চাইলে পরিবেশ আন্দোলনের এই কর্মী শুধু বলেন, তাঁকে বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হয়নি এবং অন্য আটক ব্যক্তিদের জরুরি ওষুধ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
থুনবার্গ বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি যা সহ্য করেছি, তা প্রকাশ করতে চাই না। কারণ, আমি চাই না, খবরের শিরোনাম হোক যে গ্রেটাকে নির্যাতন করা হয়েছে। আসল গল্প সেটি নয়।’ থুনবার্গের মতে, তাঁদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা গাজার মানুষের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার তুলনায় কিছুই নয়।
গত সপ্তাহে রয়টার্সকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘সব আটক ব্যক্তিকে পানি, খাবার ও শৌচাগার ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের আইনি পরামর্শ নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়নি।
থুনবার্গ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামের একটি নৌবহরে ছিলেন। বহরটি গাজায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া এবং অবরুদ্ধ এ অঞ্চলের মানবিক বিপর্যয়ের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছিল।
গত শুক্রবার সুইডিশ অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেন, থুনবার্গকে আটক অবস্থায় ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁকে ইসরায়েলের পতাকা পরতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে থুনবার্গ মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কিছু বলেননি।