জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতাসহ দায়িত্ব পালন করতে চান সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এর সপক্ষে তাদের যুক্তি, বিচারিক ক্ষমতাসহ মাঠে থাকলে যে কোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। এতে সহজেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। সোমবার নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী থেকে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ডাকলে তারা যাতে সাড়া দিতে পারেন; এজন্য আইন, বিধিমালা ও পরিপত্রে সেই বিধান যুক্তের প্রস্তাব করেন তারা। তাদের এসব প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেয়নি নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্তে যাবে ইসি। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, একটি দল নাশকতা চালিয়ে নির্বাচন ভন্ডুল করতে পারে বলে বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রের তথ্য তারা সংগ্রহ করেছেন। আট হাজারের বেশি কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকি বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পরিকল্পনা নিতে হবে।
বৈঠকে ইসি সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে উন্মুক্ত নির্দেশনা দেবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয় ইসি। সব বাহিনীর উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, একই এলাকায় যারা দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন, তাদেরকে ভোটের আগে বদলি করতে হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বৈঠকে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে মাঠে আছে। আসন্ন নির্বাচনেও তাদের ওই ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি। তার ওই প্রস্তাব সমর্থন করে বক্তব্য দেন কয়েকটি বাহিনীর কর্মকর্তারা।