স্বর্ণ চোরাচালান, নকল হীরা দিয়ে প্রতারণা, মানি লন্ডারিং ও হুন্ডি বাণিজ্যসহ একাধিক অপরাধে জড়িত ছিলেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা। রাজনৈতিক যোগসাজশ ও প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে নিজের অপরাধ-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেন তিনি। গত বছর বিভিন্ন অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে রহস্যজনকভাবে আমলা ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে গোপনে জামিন নিয়ে গা-ঢাকা দিতে সক্ষম হন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম অর্থ জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত দিলীপ আগারওয়ালা। তার এমন গোপন ও আকস্মিক কারামুক্তি নিয়ে আদালত অঙ্গনে চলছে তোলপাড়।
২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তাকে আদালতে তোলা হয়। এরপর তাকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আইন অনুযায়ী সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর গত ১ অক্টোবর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন দিলীপ। একজন উপদেষ্টা ও প্রভাবশালী সমন্বয়কের সহযোগিতায় ৬০০ কোটি টাকার দফারফায় তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর হয়েছে। তবে এর সত্যতা কতটুকু, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
দিলীপ আওয়ামী লীগের বাণিজ্য উপকমিটির নেতা ছিলেন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান বলেন, দিলীপ আগারওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালান, অর্থ পাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। বিপুল অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যাকাণ্ডেও তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ভ্যাট ফাঁকি ও আয়কর নথি তদন্ত শুরু করলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দিলীপ তদন্ত এগোতে দেননি বলে জানায় সিআইডি।
গোপন জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এক্ষেত্রে অনিয়মের কিছু নেই। টাকার বিনিময়ে রফাদফা হয়েছে কি না, এ ব্যাপারগুলো তার এখতিয়ার নয় বলে জাহাঙ্গীর আলম এড়িয়ে গেছেন।