news.ibtvusa@gmail.com

929-633-2900

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সংশয়

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সংশয়

আইবিটিভি ডিজিটাল      প্রকাশিত: বিকাল ০৫:৫৫, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার      আপডেট: বিকাল ০৩:৪১, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার

জুলাই সনদ স্বাক্ষর, গণভোট, পিআর পদ্ধতি, প্রতীক বরাদ্দসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড জটিলতায় আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নাও হতে পারে বলে ধারণা করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। 

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করে তিনি নিউইয়র্ক সময়কে জানান, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে বাইরে রেখে সরকার প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে। আলাপকালে জি এম কাদের উল্লেখ করেছেন, এ ধরনের নির্বাচন আসলে আওয়ামী লীগের আমলের মতোই নির্বাচন। হাসিনা সরকার যেভাবে জনগণের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করেছিল। এবারের নির্বাচনও তেমনটাই হবে বলে আমার ধারণা। এভাবে নির্বাচন করলে দেশের অস্থিরতা বাড়াবে এবং হানাহানি সৃষ্টি করবে।’ এসব কারণে হয়তো নির্বাচন সঠিক সময়ে না হয়ে পিছিয়েও যেতে পারে।

 এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়েও রয়েছে জটিলতা। যদিও নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব ঘোষণা দিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক লাখ সদস্য আট দিন মাঠে থাকবে। এ সময় জি এম কাদের আরও বলেন, ‘আমি আসলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের খুব বেশি একটা সম্ভাবনা দেখছি না। আর যদি অনুষ্ঠিত হয় তাহলেও সেটি এক ধরনের প্রহসনের সামিল। এ ধরনের নির্বাচন দেশের জন্য হানিকারক হবে। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সমাজে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে।’

ফেব্রুয়ারিতে ভোট হওয়ার বিষয়ে নিউইয়র্ক সময়কে নিজের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীও। তিনি নিউইয়র্ক সময়কে বলেন, দেশের মানুষ যখন জানমালের নিরাপত্তা পাচ্ছে না, তখন ফেব্রুয়ারিতে কীভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।
এদিকে শাপলা প্রতীক ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে যাবে না বা নির্বাচন হতে দেবে না বলে

প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়। ‘শাপলা প্রতীকের কোনো বিকল্প নেই, কোনো বিকল্পের অবকাশও নেই’—সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাদ্যমে দলটির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম এভাবেই নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নির্বাচন পেছানোর ইস্যুতে নিউইয়র্ক সময়ের পক্ষ থেকে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, সংবেদনশীল ইস্যু হওয়ায় তারা এ ব্যাপারে মতামত দিতে আগ্রহী নন।