নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করতে পারেন দুই ছাত্র উপদেষ্টা। রাজনৈতিক মহলে এমন গুঞ্জন ছিল বেশ আগে থেকেই। তবে সম্প্রতি কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন বিএনপি, এনসিপি ও জামায়াতের নেতারা। এর পর থেকেই আবারও গণমাধ্যমে চাউর হয়েছে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের ইস্যু। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পদত্যাগের পরামর্শ দেয়া হয় তাদের। তবে হুট করেই জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগের পরামর্শ নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শুক্রবার এমন তথ্য দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বাংলা। সেখানে বলা হয়, এ বিষয়ে জানতে দুই উপদেষ্টার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে সূত্র বলছে, নির্বাচন ঘিরে নানা সমীকরণে এখনই পদত্যাগের কথা ভাবছেন না তারা। যদিও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তবে কোনো দলের প্রার্থী হবেন না কি স্বতন্ত্র পদে দাঁড়াবেন, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
এদিকে নির্বাচনের আগে কেবল শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের থেকে হওয়া দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাওয়ার বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন এনসিপি নেতারা। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দুইজন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি এবং সরকার থেকে তাদের পদ ছাড়ার পরামর্শকে পরিকল্পিত বলেই মনে করছেন তারা। বলছেন, নানা পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বতী সরকার সরকার গঠন করা হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তারা সরকারে গেছেন। কিন্তু এনসিপির সাথে তাদের মিলিয়ে "প্রচারণা কিংবা পদত্যাগ করতে বলা উদ্দেশ্যমূলক"।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, দুই উপদেষ্টাকে দলীয় হিসেবে দেখানোর প্রবণতা যদি থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে অনেক উপদেষ্টাই আছেন যাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। যারা কোনো একটা দলকে সরকারের ভেতরে থেকে সমর্থন করে যাচ্ছেন। কেবল পূর্বতন রাজনৈতিক পরিচয় বা সখ্যতার বিষয়কে দলীয় হিসেবে বিবেচনা করা হলে, সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনেকেই বিএনপি ও জামায়াতের সাথে গভীর সখ্যতা রেখে চলেন। ফলে তাদের জায়গাটাও পুনর্গঠন করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।