ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

আমেরিকায় ইউনির্ভাসিটিতে মুখোমুখি ফিলিস্তিনি-ইসরাইলপন্থীরা

আমেরিকায় ইউনির্ভাসিটিতে মুখোমুখি ফিলিস্তিনি-ইসরাইলপন্থীরা

আইবিটিভি নিউজ ডেস্ক     

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেস-ইউসিএলএ-তে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী এবং ইসরাইলপন্থি একটি দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ইউসিএলএর উপাচার্য মেরি ওসাকো এ ঘটনাকে ভয়াবহ সহিংসতা হিসেবে আখ্যা দিয়ে ক্লাস স্থগিত রেখেছেন। সংঘর্ষের পর সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ডাকা হয়েছে। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পর লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যাম্পাসে দুই বিরোধী পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মুখোশ পরা ইসরাইলসমর্থকরা ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে। বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্টে।

 

 

আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ নিয়েছে।

 

ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের পাশাপাশি ইসরাইলপন্থীরা হামলা চালাচ্ছেন। এমন এক হামলার পর দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস ইউসিএলএ ক্যাম্পাস।

 

লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩২ হাজার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী রয়েছেন। বেশ কয়েক দিন ধরে তাঁদের অনেকে ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করছেন।

 

মঙ্গলবার রাতে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান ইসরাইল সমর্থকেরা। তাঁরা ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের দিকে আতশবাজি, পানির বোতল ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়েন।

 

লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের তাঁবু ও প্ল্যাকার্ডেও ভাঙচুর করা হয়। এর একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই পক্ষের শিক্ষার্থীরা। সংঘাত দমাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। বুধবার ভোর নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

ইউসিএলএ উপাচার্য মেরি ওসাকো এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ সহিংসতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বলেছে, ইউসিএলএ ক্যাম্পাসে সহিংসতার একাধিক ঘটনার পর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ডেকেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

পাল্টায় গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে কর্মসূচি পালন করছিলেন ইসরাইলপন্থী শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টানিয়ে শিক্ষার্থীরা ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ করছেন।

 

প্রায় সাত মাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। সেখানে দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট। ইসরাইলের এই আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে সপ্তাহ দুয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরু হয় বিক্ষোভ। ২০২০ সালে মার্কিন শিক্ষার্থীদের বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের পর এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় আন্দোলন। 

 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি ইসরাইল এবং দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহকারী মার্কিন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অনুদান নেওয়া বন্ধের দাবিতে সমাবেশ, মিছিল ও অনশন করছেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের এসব কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে হাজারো শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীকে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, ব্রিটেনসহ বিশ্বের অন্তত ছয়টি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।