ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানালো হামাস

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানালো হামাস

আইবিটিভি নিউজ ডেস্ক     

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় আট মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের এ হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এবার গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস।সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্টে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় আট মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের এ হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এবার গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস।সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আহ্বান জানিয়েছে হামাস। এতে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানানো হয়। হামাসের এক সিনিয়র নেতা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে সফরের প্রাক্কালে এ আহ্বান জানান।

হামাসের সিনিয়র নেতা আবু জুহরি বলেন, আমরা গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যে কোনো প্রাসঙ্গিক চুক্তিতে রাজি আছি। উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আমরা মার্কিন প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সোমবার মিসরে গেছেন। গাজার এ যুদ্ধের বিস্তৃতি যেন লেবানন পর্যন্ত ছড়িয়ে না যায় এমন লক্ষ্য নিয়ে তিনি এ সফর করেন। সফরে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল সিসির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ব্লিঙ্কেন।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের এ হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আটবার মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহের সফরে মিসর ছাড়াও জর্ডান ও কাতারে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।মিসর সফরের পর ইসরায়েলেও যান ব্লিঙ্কেন। এ সফরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

এর আগে গত ৩১ মে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে তিন স্তরের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা প্রস্তাবনা করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে এক ভাষণে নতুন এই প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিন পর্যায়ের নতুন এই প্রস্তাবে গাজায় পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সুযোগ রয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।

হামাসের উদ্দেশ্যে বাইডেন বলেন, ‘হামাস সবসময় বলে থাকে, তারা যুদ্ধবিরতি চায়। এখন হামাসের সামনে প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে, তারা আসলেই এটা চায় কি না’।তিন পর্বের এই প্রস্তাবের শুরুতে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধ বিরতির কথা বলেছে ইসরায়েল। এটি হবে যুদ্ধ বিরতির প্রথম পর্যায়। এ সময়ে গাজার সব জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

যুদ্ধবিরতির সময় হামাস ‘নির্দিষ্ট সংখ্যক’ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তাদের মধ্যে নারী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং আহত জিম্মিরা থাকবেন। এর বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি থাকা কয়েকশ মানুষকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া হামাসের হাতে জিম্মি অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে।

গাজার সব এলাকায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘরে ফিরতে সুযোগ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাড়ানো হবে। গাজায় প্রতিদিন মানবিক সহায়তাবাহী ৬০০ ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজাবাসীর জন্য হাজারো সাময়িক আবাসনের ব্যবস্থা করবে।

ছয় সপ্তাহের যুদ্বি বিরতি চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা চলমান থাকবে। যদি আলোচনা সফল হয়, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে বাদবাকি জীবিত জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। তাদের মধ্যে জিম্মি পুরুষ সেনারাও থাকবেন। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ সেনাকেও সরিয়ে নেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতিকে ‘স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধে’ উন্নীত করা হবে।

তৃতীয় পর্যায়ে জিম্মি ফেরানোর প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ করা হবে। গাজার জন্য বড় ধরনের একটি ‘পুনর্গঠন পরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এর আওতায় মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় গাজা উপত্যকায় বাড়ি, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল পুনর্র্নিমাণ করা হবে।