আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা অভিবাসীদের আশ্রয় চাওয়ার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করার জন্য মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেয়া নির্বাহী পদক্ষেপে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বাইডেনের সমর্থক ডেমোক্র্যাটরা এ পদক্ষেপে সাধুবাদ জানালেও দলের কিছু প্রগতিশীল সদস্য এ সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, বিরোধী রিপাবলিকান নেতারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সিদ্ধান্তকে নির্বাচনের আগে বিজয় অর্জনের জন্য একটি রাজনৈতিক প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন। সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট তার ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে একটি বিষয় সম্পর্কে খুব পরিষ্কার যে, এ বিষয়ে নির্বাহী পদক্ষেপের বদলে আইন প্রণয়নই হতে পারতো আরও কার্যকর উপায়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন শুরু থেকেই স্পষ্ট ছিলেন যে তিনি আইন প্রণয়নকে পছন্দ করেন। কিন্তু রিপাবলিকানরা সীমান্ত আইন প্রণয়নের জন্য কংগ্রেসকে কোন বাস্তব সুযোগ না দিতে এতটাই অনড় ছিলেন যে প্রেসিডেন্টের এ বিষয়ে নির্বাহী পদক্ষেপ ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না।
কংগ্রেসের রিপাবলিকানরা বাইডেনের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেছেন। সেনেটের রিপাবলিকান দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, বাইডেনের সিদ্ধান্তটি তীব্র আগুন নেভানোর জন্য অল্প কিছু পানি দেয়ার মতো এবং অ্যামেরিকান জনগণ বোকা নয়। তারা জানে যে এই নাটকটি খুব দেরি হয়ে গেছে। ম্যাককনেল বাইডেন প্রশাসনের অধীনে অবৈধ অভিবাসনের বৃদ্ধি এবং ফেন্টানাইল সম্পর্কিত মৃত্যুর উদ্বেগজনক হারের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, বাইডেনের এখন এসে কাজ করার সিদ্ধান্ত নির্বাচনের আগে মুখ বাঁচানোর একটি প্রচেষ্টা মাত্র। বাইডেন তার নিজের দলের মধ্য থেকেও বিরোধিতার মুখোমুখি হচ্ছেন, বিশেষত প্রগতিশীলরা এ নির্বাহী সিদ্ধান্তকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে তুলনা করেছেন। ডেমোক্র্যাট সেনেটর অ্যালেক্স প্যাডিলা বলেছেন, ট্রাম্পের আশ্রয় নিষেধাজ্ঞা পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বাইডেন অ্যামেরিকান মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করেছেন এবং নিপীড়ন, সহিংসতা ও কর্তৃত্ববাদ থেকে পালিয়ে আসা লোকদের অ্যামেরিকায় আশ্রয় নেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য আমাদের দেশের বাধ্যবাধকতা বাদ দিয়েছেন।
ওয়াশিংটনের ডেমোক্র্যাট সদস্য প্রমিলা জয়পাল এক এক্স বার্তায় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছেন। নির্বাচনের জরিপগুলো নির্দেশ করে যে বাইডেন সীমান্ত নীতির ক্ষেত্রে ভোটারদের আস্থা অর্জনের জন্য ক্রমাগত লড়াই করে চলেছেন।