ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি ট্রাম্প?

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি ট্রাম্প?

আইবিটিভি নিউজ ডেস্ক     


নিউইয়র্কের আদালত ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান হাশ মানি মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এই রায় ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া আটকাতে পারবে কি না কিংবা তাঁর ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, তা চলছে আলোচনা। 


স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ করতে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ শুনানির পর ট্রাম্পকে সব অভিযোগেই দোষী ঘোষণা করেন ১২ সদস্যবিশিষ্ট জুরি। রায় ঘোষণার সময় ট্রাম্প আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং বিচারকদের দিকে তিনি হতাশ তাকিয়ে ছিলেন। 

পরে বিচারক হুয়ান মেরচান ১১ জুলাই সাজা ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেন। এমন সময়ে সাজা ঘোষণা হবে, যার কয়েক দিন পরই ট্রাম্পকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ঘোষণা করার কথা। আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। 

ব্যবসায়িক নথিপত্র জালিয়াতির শাস্তি হিসেবে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে চার বছরের কারাদণ্ড। তবে কখনো কখনো বিচারক চাইলে এর চেয়েও কম মেয়াদে কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড দিতে পারেন। তবে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ায় ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বা বিজয়ী হলে দায়িত্ব গ্রহণের পথে আইনগত বাধা হবে না। আর সাজা ঘোষণার আগে তাকে কারাগারেও যেতে হবে না।

আগামী ১১ জুলাই মামলার দণ্ডাদেশ দেওয়ার পরপরই আপিল করতে পারবেন ট্রাম্প। দণ্ডাদেশ দেওয়ার পর ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে ৩০ দিন সময় পাবেন মামলার রায় বাতিলের এবং এরপর আরও ছয় মাস সময় পাবেন পূর্ণাঙ্গ আপিলের জন্য। এর সহজ অর্থ হলো—তিনি প্রায় সাত মাস সময় পাবেন আপিলের জন্য, যা নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

অল্প কথায় বলতে গেলে, ট্রাম্প অবশ্যই এর পরও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে এমন কোনো আইন নেই, যা কোনো অপরাধীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে বিরত রাখতে পারে। প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের মাত্র অল্প কয়েকটি বিধিনিষেধ রেখেছে। সেগুলো হলো—কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স হতে হবে, একজন স্বাভাবিক জন্মগত নাগরিক কিংবা কমপক্ষে ১৪ বছর নাগরিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস।

অধিকন্তু চলতি বছরের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তার কারণে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার লক্ষ্যে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার কারণে স্টেটগুলো তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারবে না।

এই রায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে থাকা অন্য তিনটি মামলার ক্ষেত্রে খুব সামান্যই গুরুত্ব বহন করে। এই মামলাগুলো আগে যেমন চলছিল, এখনো সেই গতিতেই চলতে থাকবে। প্রেসিডেনশিয়াল ইমিউনিটি দাবি করায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধ থাকা নির্বাচনী ফলাফল উল্টে দেওয়ার মামলার কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করেছে।