স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে হওয়া মামলায় নিউইয়র্কের আদালতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচারে সমাপনী যুক্তিতর্কের পর রায় জানতে অপেক্ষা বাড়ছে। বুধবার কোনো রায় দেওয়া ছাড়া শেষ হলো আদালতের কার্যক্রম। মামলায় স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যের ওপর বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে। বিচারকের নির্দেশনামতো সুচিন্তিত আলোচনার পর ট্রাম্প দোষী নাকি নির্দোষ, সে বিষয়ে জুরিরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় এবং আইন জুরিদেরকে মাথায় রাখতে হবে সেগুলো সম্পর্কে তাদেরকে নির্দেশনা এরই মধ্যে দিয়েছেন বিচারক। প্রতিটি ক্ষেত্রেই জুরিদের রায় সর্বসম্মত হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক জুয়ান মার্চেন। জুরিরা ৬ সপ্তাহ ধরে ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শুনেছেন। কয়েক ডজন প্রমাণ পেয়েছেন এবং মঙ্গলবার তারা ট্রাম্পের আইনজীবী ও প্রসিকিউটরদের প্রায় ১১ ঘণ্টার সমাপনী যুক্তিতর্ক শুনেছেন। এখন তাদেরকে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা যা দেখেছেন এবং শুনেছেন সেগুলো ট্রাম্পকে দোষী কিংবা নির্দোষ বলে রায় দেওয়ার মতো কিনা সেটিই তাদেরকে বিবেচনা করে দেখতে হবে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দিয়ে সাবেক স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তাছাড়া, এই অর্থ দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রায় হতে পারে তিন ধরনের। প্রথমত: জুরিরা ট্রাম্পকে সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন। দ্বিতীয়ত: ট্রাম্পকে সব অভিযোগ থেকে খালাস দিতে পারেন। আর তৃতীয়ত: ট্রাম্পকে কিছু অভিযোগে দোষী, আর কিছু অভিযোগে নির্দোষ উল্লেখ করে মিশ্র রায় দিতে পারেন। তবে কয়েকদিনের আলোচনার পরও জুরিরা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে না পারলে এবং সর্বসম্মত কোনো রায় দিতে না পারলে তখন বিচারক মার্চেন ট্রাম্পের বিচারকে অমীমাংসিত ঘোষণা করতে পারেন।