ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

একাডেমিক ভবনের নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনপন্থীদের কাছে

একাডেমিক ভবনের নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনপন্থীদের কাছে

আইবিটিভি নিউজ ডেস্ক     

নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক ডজন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী ঐতিহাসিক একাডেমিক ভবন হ্যামিল্টন হল দখল করার দাবি করেছে। ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের প্রতীকী তাৎপর্য বহন করে। ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামের যুদ্ধের প্রতিবাদ করার সময় ভবনটি দখল করে শিক্ষার্থীরা। বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্টে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক ডজন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি একাডেমিক ভবন দখল করেছে। গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচির মাত্রা বাড়ানোর অংশ হিসেবে বিক্ষোভকারীরা নিউইয়র্কে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার ভোরে হ্যামিল্টন হল দখল করে ভেতরে ব্যারিকেড দেয়।

 

গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম সংগঠন কলাম্বিয়া স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন প্যালেস্টাইন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের তাঁবুতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি এরপর হ্যামিল্টন হল দখলের কথা ঘোষণা দেয়। তারা জোর দিয়ে বলে, একাডেমিক ভবনটি ১৯৬৮ সালে ছাত্র বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের প্রতীকী তাৎপর্য বহন করে। ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামের যুদ্ধের প্রতিবাদ করার সময় ভবনটি দখল করেছিলো শিক্ষার্থীরা।

 

বিক্ষোভকারী আরেক সংগঠন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপার্থেইড ডাইভেস্ট বলেছে, এ বছরের শুরুতে গাজায় মৃত অবস্থায় পাওয়া ছয় বছর বয়সী মেয়ে হিন্দ রাজাবের সম্মানে ভবনটি দখল করেছে তারা। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ছাত্রত্ব স্থগিত করা শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলন দমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনোশ শফিক বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীরা তাঁবু গেঁড়ে যে অবস্থান নিয়েছে, তা তুলে নিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাডেমিক নেতৃত্বের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বর্তমান অবস্থাকে ‘অনিয়ম ও নৈরাজ্যপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন একজন শিক্ষার্থী। তিনি বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা জানালা ভেঙে ভবনে প্রবেশ করেছে এবং আসবাবপত্র দিয়ে দরজা আটকে রেখেছে।

 

বিক্ষোভকারীরা অনেক কিছু দিয়ে ব্যাগ ভর্তি করে একাডেমিক ভবনটিতে প্রবেশ করেছে। তারা সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাস করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে প্রকম্পিত যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস। গত ১৭ এপ্রিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের সরাতে ক্যাম্পাসে নিউইয়র্ক পুলিশ প্রবেশ করে একশোর বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করলে এই বিক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকাজুড়ে।


১১ দিনে ১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বিক্ষোভ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব বিক্ষোভের বিরোধিতা করে নিন্দা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং স্পিকার মাইক জনসন।