news.ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

মধ্যবর্তী নির্বাচনে ব্যস্ত ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান শিবির

মধ্যবর্তী নির্বাচনে ব্যস্ত ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান শিবির

আইবিটিভি ইউএসএ নিউজ ডেস্ক     

আমেরিকার সংবিধান এবং সংসদীয় ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ মধ্যবর্তী নির্বাচন। ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি কংগ্রেসে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা এবং জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের অন্যতম মাধ্যম এই নির্বাচন। আগামী ৮ নভেম্বরের ওই নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে রাজনীতির মাঠ। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন নিজেদের প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট এবং বিরোধী রিপাবলিকান শিবির।

নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা আমেরিকার নভেম্বরের মধ্যবর্তী  নির্বাচন নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

কংগ্রেসের দুই কক্ষ হাউজ এবং সেনেটে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা।

বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে হাউজের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে ক্ষমতাসীনরা, আর সেক্ষেত্রে মেয়াদকালের বাকি দুই বছর বাইডেন প্রশাসনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে রিপাবলিকানরা।

সংবিধান মতে, কংগ্রেসের দুই কক্ষের মধ্যে ৪৩৫ আসনের হাউজের সবগুলোতে এবং ১০০ আসনের সেনেটের এক তৃতীয়াংশে হবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোট। ফলে দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে থাকতে মরিয়া ডেমোক্র্যাটরা। অন্যদিকে, প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে আশাবাদী বিরোধী রিপাবলিকান শিবির।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দা, অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি, বন্দুক সহিংসতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভকে প্রত্যক্ষ সমর্থন, অভিবাসী সংকটসহ নানা কারণে চাপের মুখে বাইডেন প্রশাসন। আর এ কারণেই এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে হাউজের নিয়ন্ত্রণে হারাতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা। আর সেটি হলে, আগামী দুই বছর সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাইডেনের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন রিপাবলিকানরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও, ব্যবধান খুবই সামান্য। ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে হাউজে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সেখানেও খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই তারা। অন্যদিনে সেনেটও সমানভাগে বিভক্ত। কেবল ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যামালা হ্যারিস তার নির্বাহী ক্ষমতায় ভোট দেওয়ায়, যে কোনো প্রস্তাব পাসে সেখানে উৎরে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীনরা।

তাই মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, ডেমোক্র্যাটরা যে চাপে আছেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

নির্বাচনের ফল যেদিকেই যাক না কেন, কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ডেমোক্র্যাটরা মরিয়া হলেও মেয়াদকালের আগামী দুই বছর বাইডেন প্রশাসনের জন্য অত্যন্ত কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।