ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটালো আমেরিকা

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটালো আমেরিকা

আইবিটিভি নিউজ ডেস্ক     

জয়ের জন্য ৪৫ বলে দরকার ৫৬ রান, হাতে ৯ উইকেট। ফিফটি করে উইকেটে আছেন একজন। ম্যাচের লাগাম যুক্তরাষ্ট্রের মুঠোয়। সেখান থেকেও তারা পড়ে যায় হারের শঙ্কায়। তবে শেষ বলে বাউন্ডারিতে ম্যাচ টেনে নেয় সুপার ওভারে। সেখানে দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় এক জয় তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার উপলক্ষ দারুণ জয়ে রাঙাল আমেরিকা। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই জিতল তারা। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে প্রথম ৯ ওভারে মাত্র ৪৬ রান করা পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রানের পুঁজি গড়তে পারে ৭ উইকেট হারিয়ে। জবাবে ৩ উইকেটে ১৫৯ রানেই থামে যুক্তরাষ্ট্র।

শেষ দুই ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ছিল ২১ রান। ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ আমির দেন কেবল ৬ রান। শেষ ওভারে ১৫ রানের সমীকরণে হারিস রউফের প্রথম ৩ বলে আসে ৩ রান, এর মধ্যে অ্যারন জোন্সের একটি ক্যাচ ফেলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাকি ৩ বলে চাই ১২। চতুর্থ বল ফুল টস পেয়ে ছক্কা মারেন জোন্স। পঞ্চম বলে আসে ১ রান। শেষ বলে ফুল টসে মিড অফ ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে চার মেরে ম্যাচ সুপার ওভারে নেন নিতিশ কুমার। সুপার ওভারে আমিরের প্রথম বলে জোন্স চার মারলেও আর কোনো বাউন্ডারি আসেনি। তবে অভিজ্ঞ পেসারের এলোমেলো বোলিং আর আলগা ফিল্ডিংয়ে মোট ১৮ রান পেয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে পেসার সৌরভ নেত্রাভালকারের ওভার থেকে পাকিস্তান ১ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৩ রান। তৃতীয় বলে লং অফ থেকে সামনে ছুটে এসে ইফতিখার আহমেদের দুর্দান্ত ক্যাচ নেন নিতিশ। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেখায় যুক্তরাষ্ট্র। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে তাদের প্রথম সিরিজ জয় সেটি। এরপর বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৭ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা। এবার ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী, ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ও গত আসরের রানার্সআপ পাকিস্তানের বিপক্ষে ধরা দিল ঐতিহাসিক জয়। চলতি আসরে প্রথম অঘটনের জন্ম দিল তারাই। এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজও জিতেছে আমেরিকা।