শিক্ষাঋণ মওকুফের ঘোষণা দিয়ে কার্যক্রমও শুরু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু আপিল আদালতে রিপাবলিকান-নেতৃত্বাধীন স্টেটের ঋণ মওকুফ কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের প্রেক্ষিতে তা আটকে দিলেন। তবে আদালতের এই জরুরি স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষিত শিক্ষার্থীদের ঋণের ১০ হাজার ডলার মওকুফের সিদ্ধান্তটি আটকে দিলেন আদলত।
শুক্রবার আপিল আদালত বাইডেনের ওই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছেন। এর আগে রিপাবলিকান-নেতৃত্বাধীন ছয় স্টেটের ঋণ মওকুফ কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা খারিজ করে দেন এক বিচারক। এর এক দিন পর আদালত শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফের বিষয়ে এমন রায় দিলেন।
অষ্টম সার্কিট কোর্ট অব আপিল এ বিষয়ে একটি জরুরি স্থগিতাদেশ দেন। সেন্ট লুইসভিত্তিক আপিল আদালতও এই বিষয়ে একটি দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে আদালতের এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, আদালতের অস্থায়ী এই আদেশের মানে এই না যে, শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন না। তিনি বলেন, যোগ্য ঋণগ্রহীতাদের প্রায় ২২ মিলিয়ন আমেরিকানদের তথ্য এডুকেইশন ডিপার্টমেন্টের কাছে রয়েছে।
কয়েক দশক ধরে অ্যামেরিকার উচ্চশিক্ষা খাতের শিক্ষার্থীরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে দেশের শিক্ষার্থীরা ঋণ মওকুফের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাঁদের এ দাবির প্রেক্ষাপটে ব্যবস্থা নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শিক্ষার্থীদের নেওয়া ঋণের অন্তত ১০ হাজার ডলার মওকুফের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাইডেনের ওই পরিকল্পনা অনুসারে, নিম্ন আয়ের পরিবারের অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ২০ হাজার ডলারের ঋণ মওকুফ পাবেন। আর যাঁরা ওই অনুদান পাননি, তাঁরা ১০ হাজার ডলার ঋণ মওকুফের সুবিধা পাবেন। তবে এখানে একটি শর্তযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, এ সুবিধা তাঁরাই পাবেন, যাঁদের বার্ষিক আয় একশ ২৫ হাজার ডলারের কম।
বাইডেনের এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন অ্যামেরিকার অধিকারকর্মী ও আইনপ্রণেতারা।