ইউরোপ-আমেরিকাকে টেক্কা দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রের আঁতুড় ঘর এখন এশিয়া। চীন ও ভারত সহ পাকিস্তানেও রয়েছে এই মারণাস্ত্র। যার একটি মাত্র হুঙ্কারে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে একটি গোটা দেশ। ভারত প্রথমবারের মতো ১৯৭৪ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। আর পাকিস্তান এই পরীক্ষা চালায় ১৯৯৮ সালে। তবে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যায় ভারতের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে আছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ১৯৬৪ সালে প্রথমবার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো চীন অস্ত্রের সংখ্যা বিবেচনায় প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে।
সম্প্রতি সুইডেনের চিন্তক প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট SIPRI-এর সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। SIPRI-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ৯টি দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব দেশের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ৪৪টি পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের। তবে দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত গত বছরের তুলনায় কমে এসেছে। কারন ২০২৩ সালের জানুয়ারিতেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৫ হাজার ২৪৪টি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল।
একইভাবে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়ার কাছে ৫ হাজারের বেশি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল। SIPRI-এর তথ্য অনুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে অস্ত্রের পরিমাণ কিছুটা কমলেও সেই সংখ্যা এখনো ৫ হাজারের বেশি। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের অস্ত্রের সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। যুক্তরাজ্যের কাছে ২২৫টি ও ফ্রান্সের কাছে ২৯০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫০০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে চীনের সংগ্রহে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দেশটির কাছে ৪১০টি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়েছে ভারত। এক বছরের ব্যবধানে দেশটি ১৬৪টি থেকে ১৭২ পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের সংগ্রহে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ১৭০টিতে অপরিবর্তিত আছে। এছাড়া SIPRI জানায়, উত্তর কোরিয়ার কাছে ৫০টি ও ইসরায়েলের কাছে ৯০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এবং গোটা বিশ্বে ৯টি দেশের হাতে ১২ হাজার ১২১টি পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে।