ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

আবারো ইউরো জিতেছে স্পেন

আবারো ইউরো জিতেছে স্পেন

আইবিটিভি নিউজ ডেস্ক     

উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আবারো স্বপ্নভঙ্গ হয় ইংল্যান্ডের। তাদেরকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে চতুর্থবারের মত ইউরোপের মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের তকমা নিজেদের করে নিলো স্পেন। ফাইনালে স্প্যানিশদের হয়ে গোল দুটি করেন উইলিয়ামস ও ওয়ারজাবাল। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্টে।

ফর্ম, পরিসংখ্যান সবকিছুর বিচারে এই ম্যাচে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নেমেছে স্পেন। ইউরোপের রাজা হবার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল হ্যারি কেইন, জুড বেলিংহামদের মতো তারকা ঠাসা ইংল্যান্ড। কিন্তু ফাইনালের মহারণে শেষ হাসি হাসল তারুণ্যদীপ্ত স্পেন।

ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে বার্লিনের অলিম্পিয়া পার্কে ২-১ গোলে জিতেছে স্পেন। এই জয়ে এক যুগ পর শিরোপা ঘরে তুলল স্পেন। এর আগে ২০১২ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। মনোমুগ্ধকর কনসার্টের পর শুরু হয় ম্যাচ। শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে ছিল স্প্যানিশরা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে লামিন ইয়ামালের কল্যাণে প্রথম আক্রমণে যায় স্পেন। তবে, দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি এই ১৭ বছর বয়সী তারকা।

এরপর ম্যাচের ১২তম মিনিটে উইলিয়ামসের বাঁ-পায়ের জোরালো শট দারুণ দক্ষতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন  ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার স্টোনস। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। ডানপ্রান্ত দিয়ে কাইল ওয়াকার এগিয়ে গেলেও ঠিকঠাক ক্রস করতে পারেননি। প্রতিপক্ষের গায়ে লাগলে কর্নার পায় ইংলিশরা। যদিও তা কাজে লাগাতে পারেনি সাউথগেটের দল।

ম্যাচের ২৮তম মিনিটে ফ্যাবিও রুইজ গোলপোস্ট বরাবর শট করলেও গতি না থাকায় সেযাত্রায় সাফল্য পায়নি স্পেন। যোগ করা সময়ে ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন শট করলেও তা সহজেই তালুবন্দী করেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন। বাকি সময়ে আরও বেশি কিছু আক্রমণ করলেও খালি হাতেই বিরতিতে যেতে হয় দুদলকে।

তবে, বিরতি থেকে ফিরেই লিড নেয় স্পেন। লামিন ইয়ামালের ক্রস থেকে বাঁ-প্রান্ত দিয়ে দারুন ফিনিশিং করেন নিকো উইলিয়ামস। ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে আক্রমণ আরও বাড়ায় স্পেন। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে আরও একটি গোল পেয়ে যেতে পারত স্পেন। লামিনের বাড়ানো বলে অধিনায়ক মোরাতার শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন স্টোনস। ফিরতি শটে চেষ্টা করলেও বল জালে জড়াতে পারেননি উইলিয়ামস।

৬৩তম মিনিটে ডি-বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে শট করলেও বল গোল অভিমুখে রাখতে পারেননি ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহাম। ৬৫তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে যান ইয়ামাল। বাঁ-পায়ে গড়ানো শট করলেও অসাধারণ সেভে ইয়ামালকে হতাশ করেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। একের পর এক আক্রমণের পর ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইংলিশরা। কেনের বদলী হিসেবে নেমে গোল করেন বসেন পালমার। অবশ্য বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি দলটি। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে কুকুরেয়ার বাড়ানো বলে গোল করেন বসেন ওয়ারজাবাল। এর ফলে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠেও শিরোপা খরা ঘুচাতে পারলো না ইংল্যান্ড। গতবার ইতালির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ইংল্যান্ডের।