কয়েক বছর ধরেই অস্তিত্ব-সংকটে ভোগা ব্রাজিল কোপা আমেরিকার এবারের আসরেও নিজেদের যেন চেনাতেই পারছিলেন না। অন্যদিকে যেভাবেই হোক ব্রাজিলকে রুখতে হবে—উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের এই প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন মাঠে ছিল বেশ স্পষ্ট। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য ম্যাচটি কোপা আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে। সেখানে উরুগুয়ের কাছে ৪-২ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। এতে সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার মুখোমুখিহতে চলেছে উরুগুয়।
একদিকে চোটের কারণে নেইমার এবারের কোপা আমেরিকাতেই নেই আর ব্রাজিলের এই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না আজ। তাঁর অবর্তমানে ব্রাজিলের ফুটবলের বর্তমান রাফিনিয়া-রদ্রিগো আর ভবিষ্যৎ এনদ্রিক তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে উরুগুয়ে বরাবরের মতো তাদের ট্রেডমার্ক শরীরনির্ভর ফুটবল খেলেছে। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটেই ৯টি ফাউল করেছে তারা। ম্যাচে ব্রাজিল প্রথম সুযোগটা পায় ২৪ মিনিটে। এনদ্রিক গোলে শট নেওয়ার জায়গা না পেয়ে বল ঠেলে দেন বাঁ দিকে থাকা রদ্রিগোকে। কিন্তু বলের কাছে পৌঁছাতেই পারেননি তিনি।
এর ১০ মিনিট পর বক্সের বাইরে বল পেয়ে উরুগুয়ের তিন ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। বক্সে ঢুকে জোরাল শটও নেন। কিন্তু সেই শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন উরুগুয়ের গোলকিপার রোচেত। সুযোগ হাতছাড়া করেছে উরুগুয়েও। ৩৩ ও ৫২ মিনিটে সহজ দুটি সুযোগ থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন দারউইন নুনিয়েজ। এ সময় পুরো ম্যাচে উরুগুয়ে ফাউল করেছে ২৬টি।
৭১ মিনিটে রদ্রিদোকে ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন নাহিতান নানদেজ। সেই ট্যাকল এতটাই ভয়ংকর ছিল যে রেফারি ভিএআর দেখে তাঁকে লাল কার্ডই দেখান। ১০ জনের দলকে চেপে ধরার চেষ্টা করে ব্রাজিল। শেষ দিকে সাভিনিও-মার্তিনেল্লিদের নামিয়ে ব্রাজিল কোচ খেলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোল আর আসেনি।
এছাড়া টাইব্রেকারে পেনাল্টি শট নেওয়ার পর্যাপ্ত বিকল্প পেতে ব্রাজিল কোচ দ্রুত তিনটি পরিবর্তন করেন। কিন্তু টাইব্রেকারে সেই বিকল্পের একজন দগলাস লুইসও গোল করতে ব্যর্থ হন। এর আগে ব্রাজিলের অধিনায়ক এদের মিলিতাওয়ের শট ফিরিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলকিপার। অন্যদিকে উরুগুয়ের হিমিনেজ টাইব্রেকারে গোল না পেলেও নিজেদের শট জালে পাঠান ফেদে ভালভের্দে, বেনতাঙ্কুর, আরাসকায়েতা ও উগারতে।