আসন্ন নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনের আমেজ। প্রচারণা যখন জমে উঠতে শুরু করেছে ঠিক তখনই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী সভায় বন্দুক হামলা হয়েছে। কেবল ট্রাম্পই নন, এর আগে চারজন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রো জ্যাকসনকে একটি শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ সময় তাকে লক্ষ্য করে দুবার গুলি ছোড়া হয়। তবে সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। ১৯১২ সালে নির্বাচনী প্রচারণাকালে এক সেলুনের কর্মী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন।
হামলার পর রুজভেল্ট বলেন, তার সঙ্গে থাকা ৫০ পৃষ্ঠার বক্তৃতার অনুলিপি বুলেটটিকে ধীরগতির করে দেয়। তবে হামলার পরও সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। এছাড়া সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ১৯৩৩ সালে হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের পর প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন হ্যারি এস ট্রুম্যান। ১৯৫০ সালে তিনিও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। পুয়ের্তোরিকান জাতীয়তাবাদীরা তাকে লক্ষ্য করে বন্দুক হামলা চালিয়েছিল।
তিনি ১৯৭২ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন জর্জ ওয়ালেস। এ সময় ওয়াশিংটন ডিসির বাইরে একটি নির্বাচনী প্রচারণায় তাকে গুলি করা হয়। এর ফলে তিনি প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড ১৯৭৫ সালের দুবার হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। এরমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে হামলার আগেই একবার তা রুখে দেওয়া হয়। এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর সান ফ্রান্সিসকোতেও তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে সেবার এক পথচারীর কারণে তিনি বেঁচে যান।
১৯৮১ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে হিলটনের বাইরে একটি বক্তৃতা দেওয়ার পরে গুলিবিদ্ধ হন রোনাল্ড রিগান। এছাড়া জনপ্রিয় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও হত্যাচেষ্টা করা হয়। ২০১১ সালে হোয়াইট হাউসে তিনি হত্যাচেষ্টার শিকার হন।