নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আমেজ পুরোপুরি জমে ওঠেছে এবং একে ঘিরে প্রার্থী, সমাবেশ ও সম্মেলনের পাশাপাশি পুরো দেশ নানাবিধ হুমকির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেগুলো মোকাবিলা জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।এবিসি নিউজের এক বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, শিকাগোতে আগস্ট মাসে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনেও ইযরায়েল-হামাস যুদ্ধ, গর্ভপাতের অধিকার এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রার্থীতা প্রত্যাহারসহ অন্য আলোচিত বিষয়গুলোর জন্য বড় আকারের প্রতিবাদের সম্ভাবনা আছে।সারা দেশের মধ্যে বিশেষ করে বেশ কয়েকটি সুইং স্টেইটে নির্বাচন কর্মকর্তারা হয়রানি এবং হুমকির কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় পদত্যাগ করছেন বলে ওয়েস্ট পয়েন্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।ওয়েস্ট পয়েন্টের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য হুমকি বাড়ছে, যা শাসন ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।’ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি স্বীকার করেছে যে নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য হুমকি নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।সিক্রেট সার্ভিস বলেছে যে, আগের প্রেসিডেন্টরা প্রতিদিন প্রায় ছয় থেকে আটটি হুমকি পেয়েছেন, যেগুলোকে তাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে।কিন্তু এবার একজন প্রার্থী অপরাধমূলক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং আরেকজন প্রার্থীকে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে, যা হুমকিকে সম্ভাব্যভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টর এক প্রতিবেদনে বলেছে যে ইউক্রেইন, গাজা এবং ইরানের সংঘাতসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংকটের কারণে ২০২৪ সালের নির্বাচন বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে।ডিএনআই আরও বলেছে, রাশিয়া, চায়না ও ইরান বিশেষভাবে ২০২৪ সালের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে, যাতে তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।হাউস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন কমিটি ইতোমধ্যে মার্চ মাসে শিকাগো এবং মিলওয়াকি উভয় সম্মেলনের জন্য ফেডারেল সরকারের ৫০ মিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা তহবিল বাড়িয়ে ৭৫ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে।২০০৪ সালের পর এবার নিরাপত্তা তহবিল প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো হলো। এর বেশিরভাগই ভৌত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন ইস্পাত ব্যারিকেডের মতো বিষয়ে খরচ হবে।