ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

হতাশ হয়ে এবার যা করতে চান বাইডেন

হতাশ হয়ে এবার যা করতে চান বাইডেন

আইবিটিভি নিউজ ডেস্ক     

সিএনএনের বিতর্কে খারাপ করার পর প্রথম সমাবেশে নর্থ ক্যারোলাইনায় যান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া প্রথম বিতর্কে ভালো করতে না পারার কথা স্বীকার করেছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী। যদিও তিনি এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন। বাইডেন জানিয়েছেন, নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পকে হারিয়ে পুনরায় জয়ী হবেন।

প্রেসিডেন্ট বলেন, স্পষ্ট করে বলতে গেলে তিনি জানেন, তিনি তরুণ নন। তিনি আগে যেমন সহজেই হাঁটতে পারতেন এখন আর তা পারেন না। তিনি আগের মতো ভালো বিতর্ক করতে পারেননি। কিন্তু তিনি জানেন কীভাবে সত্য বলতে হয় এবং কীভাবে কাজ করতে হয়। এ সময় সমাবেশে উপস্থিত সমর্থকেরা আরও চার বছর বলে স্লোগান দেন। বাইডেন জানান, তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন যে আরও চার বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

এদিকে ভার্জিনিয়ায় একটি র্যালিতে অংশ নিয়ে ট্রাম্প বিতর্কে বড় জয় পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। ট্রাম্প বলেন, বাইডেনের সমস্যা তার বয়স না। তার দক্ষতা। সে পুরোপুরি অদক্ষ। ট্রাম্প মনে করেন, বাইডেন নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়বেন এমন জল্পনাকে তিনি বিশ্বাস করেন না। তার মতে, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসসহ অন্যান্য ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় বাইডেন নির্বাচনে ভালো করবেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার প্রথম টিভি বিতর্কে অংশ নেন বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট। বিতর্কে তারা তীর্যক ভাষায় একে অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেন। এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ভালো করতে পারেননি বাইডেন। কথা বলতে গিয়ে বারবার হোঁচট খেয়েছেন। এই সুযোগে ট্রাম্প অনবরত একের পর এক যুক্তি দিয়ে বাইডেনকে নাস্তানাবুদ করেছেন। 

সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপ অনুযায়ী, বিতর্ক দেখেছেন এমন নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ বলেছেন, বিতর্কে ট্রাম্প ভালো করেছেন। মাত্র ৩৩ শতাংশ উত্তরদাতা বাইডেনের পক্ষে মত দিয়েছেন। আরেক জরিপে উঠে এসেছে, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬০ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিকল্প প্রার্থী চান। অন্যদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক অনুষ্ঠানে বাজে পারফরম্যান্সের পর বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পর্ষদ। সামনে কি হয় সেদিকেই নজর আমেরিকা এবং বিশ্বের।