সাবেক প্রেসিডেন্ট জোনাল্ড ট্রাম্প আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট করা বিদেশিদের গ্রিন কার্ড দেয়ার কথা জানিয়েছেন। যদিও ট্রাম্প সবসময় অভিবাসন নীতিতে কঠোর ভাষায় কথা বলেছেন। কিন্তু এবার তিনি সুর নমনীয় করলেন।
সিলিকন ভ্যালিতে এক পটকাস্টে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, মেধাবীদের যুক্তরাষ্ট্রে নেয়ার প্রক্রিয়া তিনি সহজ করবেন এবং যারা কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট করবেন তারা থাকতে পারবেন।ট্রাম্প বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যখন আমরা হার্ভার্ড ও এমআইটিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েটদের হারিয়ে ফেলি। তিনি বলেন, গ্রাজুয়েট শেষ করার পরে স্বাভাবিকভাবেই গ্রিন কার্ড পাওয়া উচিত ও এক্ষেত্রে জুনিয়র কলেজগুলোও অন্তর্ভুক্ত হবে।
ডিপ্লোমার অংশ হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বিদেশি স্নাতকদের গ্রিন কার্ড পাওয়া উচিত বলেও মনে করেন ট্রাম্প। যাতে এসব গ্রাজুয়েট যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারে। গ্রিন কার্ড হলো ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। পাশাপাশি নাগরিকত্ব পাওয়ার পথও খুলে দেয়।
যদিও ট্রাম্প অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধী। এর আগে অভিবাসী নীতি নিয়ে কঠোর অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ট্রাম্প। তিনি একবার দাবি করেছিলেন যে, অভিবাসীরা একজোট হয়ে সেনাবাহিনী গঠন করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা নিতে চাইছে। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ঘটা অপরাধের জন্য অভিবাসীদের দায়ী করেন। তার ভাষায়, অভিবাসীরা মানুষ না, তারা পশু।
অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘বিষাক্ত রক্ত’ বলে মন্তব্য করা ট্রাম্প, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচারে এ ধরনের অভিবাসীবিরোধী মনোভাব তিনি হরহামেশাই প্রকাশ করছেন। এমনকি নভেম্বরে পুনর্র্নিবাচিত হলে মার্কিন ইতিহাসে অবৈধ অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় নির্বাসন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।এছাড়া অভিবাসীদের বিষয়ে নমনীয় হওয়ায় ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যাপক সমালোচনা করেন।
এদিকে, হঠাৎ ট্রাম্প তার সুর পাল্টানোয় অনেকেই অবাক হয়েছেন। তবে নতুন এই প্রস্তাবের মাধ্যমে অভিবাসন ইস্যুতে নিজের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসলেন তিনি। এতে নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির পাশাপাশি জনগণের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।