news.ibtvusa@gmail.com

917-517-9777

৪০০তম ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশ

৪০০তম ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশ

আইবিটিভি ইউএসএ নিউজ ডেস্ক     

সিরিজ শুরুর আগে সম্ভাব্য ফল ছিল ৩-০। এখনও সেই বাস্তবতা টিকে আছে। তবে বদলে গেছে দুই দলের অনুমিত অবস্থান। বাংলাদেশের জন্য যেটি ছিল সম্ভাবনা, সেটিই এখন রূপ নিয়েছে চরম শঙ্কায়। হোয়াইটওয়াশ করা নয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার মুখে বাংলাদেশ!

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটি এই সংস্করণে বাংলাদেশের ৪০০তম ম্যাচ। তবে মাইলফলক উদযাপনের উপলক্ষ নেই, বরং এই ম্যাচ দলের জন্য বিব্রতকর অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার লড়াই। সিরিজ হার হয়ে গেছে প্রথম দুই ম্যাচেই। এখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানো নিয়ে টানাটানি।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বুধবার ম্যাচ শুরু যথারীতি বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায়।

সেই ২০০১ সালে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, হিথ স্ট্রিক, অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেলদের দলের কাছে দুই দফায় হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আর কখনোই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই তেতো অভিজ্ঞতা হয়নি। বরং বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করেছে ছয়-ছয়বার। এবার সেই ২১ বছর আগে ফিরে যাওয়ার শঙ্কা।

দিন পাঁচেক আগেও এমন কিছু ছিল অভাবনীয়। এই সিরিজের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৯ ওয়ানডে জিতেছে বাংলাদেশ। টানা ৯ বছরে সিরিজ জয় তো বহুদূর, কোনো ওয়ানডে ম্যাচই জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। কিন্তু এবার প্রথম ম্যাচে সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়ার সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ম্যাচে রাজার আরেকটি সেঞ্চুরির সঙ্গে রেজিস চাকাভার বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে চমকে দিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ে।

এভাবে সিরিজ হেরে যাওয়ার পর দলের মনোবল থাকার কথা তলানিতে। কোচিং স্টাফরা তবু চেষ্টা করছেন দলকে উজ্জীবিত করার। মঙ্গলবার হারারেতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বললেন, শেষ ম্যাচের গুরুত্ব দলের কাছে তুলে ধরেছেন তারা।

“এই ধরনের অবস্থার মধ্য দিয়ে যখন কোনো দল যায়, তখন যে অবস্থা থাকে, সেরকমই অবস্থা দলের। কঠিন শিক্ষা পেতে হয়েছে এবং সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। তবে আজকে সকালে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে আমাদের যে কালকের ম্যাচটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও ঘুরে দাঁড়ানো কতটা জরুরি।”

“হ্যাঁ, সিরিজ হেরে গেছি আমরা। তবে কালকের ম্যাচে খেলার অনেক কিছু এখনও আছে। বিশেষ করে, কিছু আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে। ব্যাপারটা এভাবে নিতে হবে, জিম্বাবুয়ে দারুণ খেলেছে। সিকান্দার রাজা ভালো খেলেছে, চাকাভা দেখিয়েছে সে কেমন। তবে কালকের দিনটিতে আমাদের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।”

প্রথম দুই ম্যাচে রান তাড়ার শুরুতে জিম্বাবুয়ে প্রবল চাপে থাকলেও পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেটে ৬২ রান থেকে তারা ৩০৪ রান তাড়ায় জিতেছে। পরের ম্যাচে ৪ উইকেটে ৪৯ রান থেকে জিতেছে ২৯১ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে। এই দুই ম্যাচে ফিরে তাকিয়ে বোলিং কোচ দেখিয়ে দিলেন, কোথায় ভুল ছিল বোলারদের।

“আমরা গতিতেই অটল থেকেছি একটু বেশি সময়। গতিবৈচিত্র প্রয়োজন ছিল, গতির হেরফের একটু ভালোভাবে করতে পারতাম। এক পাশের ছোট বাউন্ডারির ব্যাপারটিও আমরা সামলাতে পারিনি। তবে মূল ব্যাপার ছিল গতিই, আমরা গতিবৈচিত্র ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারতাম।”

গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এরকম কন্ডিশনেই বাংলাদেশের বোলিং ছিল দুর্দান্ত। সেই উদাহরণ তুলে ধরেই ডোনাল্ড বলে দিলেন বোলারদের করণীয় কী।

“দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা কতটা দুর্দান্ত করেছি! এখানে কন্ডিশন একদম একইরকম। সেখানে আমরা কীভাবে বোলিং করেছি, মাঝের সময়টায় কত দারুণভাবে উইকেট নিয়েছি, নতুন বলে কত ভালো করেছি…। এখানেও নতুন বলে আমরা দ্রুত উইকেট নিয়ে ওদের চাপে ফেলেছি, কিন্তু মাঝের সময়টায় জবাব খুঁজে পাইনি।”

“আমাদের কী করা প্রয়োজন, এটা কোনো ‘রকেট সাইন্স’ নয়। একটা পরিকল্পনা নিয়ে আসতে হবে যেন সিকান্দার রাজা ও অন্যরা আমাদের কাছ থেকে ম্যাচ বের করে না নিতে পারে। পরপর দুই ম্যাচে ওরা দুটি করে শতরান করে, দুইশ রানের জুটি গড়েছে। এটাই বলে দিচ্ছে, আমরা চাপটা ঠিকভাবে সামলাতে পারিনি।”